নেত্রকোনায় ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ে হামলা মাথা ফাটলো ৮ম শ্রেনির ছাত্রের
নেত্রকোনার মদনে নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মারুক নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে উপজেলার গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আহত শিক্ষার্থী মারুক কে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে গোবিন্দশ্রী গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে ও গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনির ছাত্র।
স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দশ্রী গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলে রাকিব তার বন্ধুদের নিয়ে গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে প্রতিদিন রাস্তায় উত্যক্ত করে। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রাকিব ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় ছাত্রীর সহপাঠী রাফি প্রতিবাদ করে।
এ সময় রাকিব তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে রাফিকে মারধর করে। ঘটনাটি জানতে পেরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাফিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরই রাকিব তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। হামলায় ফারুক নামের ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী মাথা ফাটলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন,‘ বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে রাকিবসহ কয়েকজন খুবই বিরক্ত করে। আমার সাথে থাকা সহপাঠী রাফিকে চাপ দেয় আমার ফোন নাম্বার দেয়ার জন্য। কিন্তু প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের সামনে রাফিকে মারধর করে। পরে বল্লমসহ অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এখন আমি বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া নিয়ে আতংকে আছি।’
গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এমদাদুল হক জানান,‘ নবব শ্রেনির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানালে দেশীয় অস্ত্রসহ বিদ্যালয়ে হামলা চালায় রাকিব, ইলিয়াস, রাব্বিসহ কয়েকজন। তখন তাদের ছোড়া ইটে মারুক নামের এক ছাত্রের মাথা ফেটে গেছে। তখন ইলিয়াস নামের এক ছেলেকে আমি নিজে ধরে ছিলাম। কিন্তু তার কাছে অস্ত্র থাকায় ভয়ে ছেড়ে দিয়েছি। এই ঘটনার সঠিক বিচার হওয়া দরকার।’
অভিযুক্ত রাকিব মিয়া বলেন,‘ আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন রাফি ও তার বন্ধুরা আমাকে অহেতুক মারধর করে। পরে আমি ইলিয়াস ভাইকে নিয়ে ঘটনার মীমাংসা করতে বিদ্যালয়ের সামনে গিয়েছিলাম। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান,‘ খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন