নেত্রকোনার মদনে ওয়াস প্রোগ্রামের দ্বিতীয় ছাদ ঢালাই কাজে অনিয়ম
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিডিপি ৪ প্রকল্পের আওতায় ওয়াস প্রোগ্রামের দ্বিতীয় তলা চাদ ঢালাই কাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) জনস্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন কাজ পরিদর্শন করে নিন্মমানের কাজ বাস্তবাস্তবায়ন করায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, পিডিপি ৪ প্রকল্পের আওতায় ওয়াস প্রোগ্রামের তৃতীয় তলায় পর্যন্ত লেট্রিন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ বাস্তবায়নের লক্ষে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেব্রুয়ারী মাস থেকে কাজ শুরু করেন। মেসার্স সারুয়ার জাহান নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ পান।
কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করায় একাধিকবার কাজ বন্ধ রাখেন কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার দ্বিতীয় তলার চাদ ঢালাই কাজ পরিদর্শনে আসেন জনস্বাস্থ বিভাগের দায়িত্বরত ম্যাকানিক সুমন দেবনাথ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি আব্দুল জলিল তাদের কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক ও জনস্বাস্থ বিভাগের লোকজন দ্বিতীয় তলায় ঢালাই কাজ পরিদর্শন করলে কাচায় ৫ ইঞ্চির দূরত্বের রড বাধাঁর নিয়ম থাকলেও সাড়ে ৬ ইঞ্চিতে রড বাধাঁ হচ্ছে।
কোন টপ দেয়া হয়নি, ভাইব্রেটর ও ঢালাই মেশিন ব্যবহার না করে নিন্মমানের সুরকি, ভিট বালু মিশ্রিত করে ঢালাই দেয়ার কাজ চালিয়ে যায়। এ সময় জনস্বাস্থ্য বিভাগের দুই ম্যাকানিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেন। কাজের এলাকায় বরাদ্দের কোন সাইন বোর্ড পাওয়া যায়নি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুল জলিল অনিয়মের সততা স্বীকার করে বলেন, ঢালাই কাজ বন্ধ করে দিলে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হবে।
বিদ্যলয়ের দাতা সদস্য ডালিম মিয়া জানান, এই কাজটি শুরু থেকেই অনিয়ম হয়ে আসছে। অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ম্যাকানিক সুমন দেবনাথ ও মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াস প্রোগ্রাম কাজে অনিয়ম পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুধবার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক কাচা ও মিকচার তৈরি করে তাদেরকে অবগত করে কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশ দেন।
মদন উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোমান আরা জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। তারা ঢালাই দেবে বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী স্যার আমাকে বিষয়টি বলেছেন। আগামীকাল সাইট পরিদর্শন করব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন