নোয়াখালী দাফনের সময় আঘাতের চিহ্ন দেখে নারীর মরদেহ থানায়

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে হাজেরা খাতুন (৩৫) নামে এক নারীর মরদেহ দাফনের সময় আঘাতের চিহ্ন দেখে থানায় নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৫ জুলাই) মুছাপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওই নারীর মৃত্যু হয়। নিহত হাজেরা একই এলাকার মাহফুজুল হকের স্ত্রী। তার ১০ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

নিহতের বড়ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার বোন ঘরে একা থাকতেন। সোমবার সকালে মৃত্যুর সংবাদ শুনে ওই বাড়িতে গেলে সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে জানায়। ঘরে রক্ত দেখে বিষয়টি সন্দেহ হলেও স্থানীয়দের চাপে মরদেহ দাফনের জন্য আমাদের বাড়ি কবিরহাটের সোনাদিয়া গ্রামে নিয়ে যাই। সেখানে দাফনের সময় মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখে রাতে থানায় নিয়ে আসি।

নিহতের স্বামী মাহফুজুল হক বলেন, আমি বাংলাবাজার মাদরাসায় দারোয়ানের চাকরি করি। আমার ছেলেকেও ওই মাদরাসায় রেখে পড়ালেখা করাই। আমার ভাই রইসুল হক ও তার পরিবারের লোকজন সম্পত্তির বিরোধে আগেও কয়েকবার আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমার স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে আমার ভাই, তার স্ত্রী লাকি আক্তার ও তাদের ছেলে তারেকের প্রতি সন্দেহ হচ্ছে।

মঙ্গলবার ওই বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে মরদেহ উদ্ধারের সময় সবাই বাড়িতে ছিল। পরে মরদেহ থানায় নেওয়ার খবর শুনে অভিযুক্তরা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।