নড়াইলের মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট সহিংসতায় ৩জন কারাগারে

নড়াইলে কলেজ ছাত্রের ফেসবুক স্টাটাসের জেরে গত ১৮জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে সৃষ্ট সহিংসতা ও কলেজ অধ্যক্ষকে হেনস্তায় জড়িত তিনজনকে জেলা হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার (২৮জুন) বিকেলে জুডিশিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র রাহুল দেব তার নিজেস্ব ফেসবুক আই ডিতে ভারতের নুপুর শর্মার ছবিসহ তার সমর্থনে একটি ‘‘প্রনাম নিও বস নুপুর শর্মা” ক্যাপসানে একটি ষ্টাটাস পোষ্ট করে। এর জেরে গেল ১৮ জুন বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কলেজে চড়াও হয়ে ঐ ছাত্রকে ধরে আনতে গেলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে এতে বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে উপস্থিত জনতার ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া ইটপাকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এসময় অধ্যক্ষসহ কলেজের তিন হিন্দু শিক্ষকের মটরসাইকেলে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঐ ছাত্রকে শাস্তির আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রজনতাকে শান্ত করে। প্রানহানী, রক্তপাত ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে সক্ষম হন। ষ্টাটাস অপলোডকারি অভিযুক্ত রাহুলকে পুলিশ সেখান থেকে আটক করে নিয়ে আসে।

এদিকে, কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের ঐ ছাত্রের পক্ষ নেয়ার গুজোব ছড়িয়ে পড়াও অধ্যক্ষ স্বপন কুমারও উপস্থিত জনতার রোষানলে পড়ে হেনস্থার শিকার হন। ঘটনার সময় সেখানে জোটবদ্ধ জনতা কতৃক সংঘোটিত নানা অপরাধে বিষয়ে অজ্ঞাত ১৭০/৮০জনের বিরুদ্ধে গতরাতে সদর থানা মামলা দায়ের হলে পুলিশ এতে জড়িত নড়াইল সদরের বিছালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের শাওন মুন্সী, মির্জাপুর গ্রামের সৈয়দ রিমন এবং একই গ্রামের মনিরুল শেখকে আটক করে।
এব্যাপারে জড়িত অন্যান্যদের ও ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।