পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান পরিদর্শন
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মনিকো গুচ্ছগ্রামের পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মনিকো গুচ্ছগ্রামসহ মান্দুল পাড়া গ্রামের অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে উঠা পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ পরিদর্শন করা হয়।
পারিবারিক এই পুষ্টি বাগান পরিদর্শন করেন- পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার(ডিটিও) মো. নইমুল হুদা সরকার, অতিরিক্ত উপপরিচালক (সিপি) মো. শাহ আলম মিয়া, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) সুবোধ চন্দ্র রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমাউন কবির।
পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত উপপরিচালক(সিপি) শাহ আলম মিয়া বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনাসহ প্রতিত জমিতে আবাদ করতে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রকল্পটির আওতায় গ্রামের মানুষ বসতবাড়ির আঙিনা, পুকুর ও খালের পাড়, বাড়ির আশপাশ, স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত প্রতিত অব্যবহৃত অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদন করবেন। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, একজন কৃষক সারা বছরই খামার থেকে কিছু না কিছু পাবেনই। কখনো সবজি থাকবে, আবার কখনো ফল থাকবে এবং কৃষকদের আরো উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন এই প্রকল্প হতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বসত বাড়ির আঙ্গিনা বা নিকটস্থ পতিত জমির ব্যবহার করে শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে স্বল্প খরচ ও শ্রমে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত অংশ বিক্রি করে বাড়তি আয় সম্ভব হবে।
উক্ত কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলার ওই ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন