পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সড়ক দখল করে বালুর ব্যবসা !! জনদুর্ভোগ চরমে

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভদ্রেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের ডানে-বামে পাকা সড়ক দখল করে বালির ব্যবসা জমজমাট।

এতে করে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তেমনি বড় ধরনের দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারন পথচারীরা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে সড়ক দূর্ঘটনা। ইউপি চেয়ারম্যান মসলিম উদ্দীন দেখেও না দেখার ভুমিকা পালন করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া জাতীয় মহাসড়কের ভজনপুর বাসস্ট্যান্ড এর উত্তরে ভজনপুর থেকে শালবাহান বাইপাস সড়কের ভদ্রেশ্বর নামক এলাকার ভদ্রেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডানে ও বামে পাকা রাস্তার তিন তৃতীয়াংশের এক তৃতীয়াংশ দখল করে বালির স্তুপ করে রাখা আছে।

জানা যায়, ভদ্রেশ্বর এলাকার জামাল এর ছেলে আতিয়ার রহমান একই এলাকার জলিলসহ কিছু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সড়কের পাশে বালু রেখে ব্যবসা করছেন। তাই পথচারীদের চলাচলে অসুবিধাসহ প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওই পাকা রাস্তা দিয়ে অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চলাচল করলেও কোনো নজরদারি নেই তাঁর।

পথচারীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, ভিতরের এই পাকা রাস্তার এই জায়গাটিতে বালু রাখার কারণে মোটরসাইকেল, অটোভ্যান ও চার্জার চালিত অটো গাড়ী গুলোকে খুবই অসুবিধার মধ্য দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে ওই বিদ্যালয়ের এক’শ ফিট উত্তরে মোড় রয়েছে এবং পূর্বে একটি কাঁচা রাস্তাও রয়েছে একটু ব্যতিক্রম হলেই দূর্ঘটনা নিশ্চিত ঘটতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় বালু চোখে আসে। অন্য একটা গাড়িকে সাইড দিতে গেলে তখন আমাদের বালুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। বিদ্যালয় সংলগ্ন এ রকম সড়ক ব্যবহার করে বালুর ব্যবসা আসলেই দুঃখজনক। এটি বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গিতালগছ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্র জানান, তাদের ওই ভদ্রেশ্বর মোড়টিতে দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই বালির ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বালির স্তুপের কাছে পাকা রাস্তার উপর ট্রাক রেখে যখন বালি লোড দেয়া হয় তখন যানবাহন যাতায়াতের সমস্যা হয়। এছাড়া বালি রাস্তার উপর আছেন কিনা, সে লক্ষ্য করেননি।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মসলিম উদ্দীন বলেন, এ নিয়ে মাথা ঘামানোর কি আছে। তাঁরা কি করে খাবে। আর বেশি কিছু না বলে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।

এ বিষয়ে ভদ্রেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মিঞা মুঠোফোনে বলেন, তিনি তার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ডানে ও বামে পাকা রাস্তায় দুইটি বিটের ব্যবস্থা করেছেন। এতে বালি ব্যবসায়ীরা বিদ্যালয়ের ঠিক সামনে নয় একটু খানি উত্তরে ও দক্ষিণে (ডানে ও বামে) ব্যবসা করেন। আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছেন কিনা? প্রশ্নোত্তরে বলেন, অসুবিধা হলেই কি করবেন রাস্তা সকলের জন্যই। তিনি আরোও বলেন, ইউএনও স্যার এই এলাকায় মন্দির পরিদর্শনে এলে হয়তো লক্ষ্য করেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি জানতে পারলাম ব্যবস্থা নেয়া হবে।