দেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গপোসাগরের কোল ঘেষে গড়ে ওঠা সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে ঢেলে সাজাতে পরিকল্পনানুযায়ী কাজ করছে সরকার।

প্রকৃতির আল্পনায় সাজানো মায়াবী সাগর কণ্যার সৌন্দর্য বর্ধনে সৃজনশীল চিন্তাধারায় সম্প্রসারিত হচ্ছে এই পর্যটন নগরির উন্নয়ন কাজ। এছাড়া জলবায়ূ পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় রেখে বাঁধ নির্মাণ,পর্যটক বান্ধব ব্লক প্রটেকশনসহ কুয়কাটার দীর্ঘ ৩৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই এখন উন্নয়নের ছোঁয়া।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দর্শনার্থীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে তার মোহনীয় অপরুপ সৌন্দর্যের কারণে। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সমুদ্রের বুক চিরে তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তান্ডবে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সৌন্দর্য হাড়িয়েছে সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে অব্যাহত তীব্র কড়াল গ্রাসের রুদ্রতা ঠেকাতে ও কুয়াকাটাকে রক্ষায় কয়েকদফা সমিক্ষা চালায় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ২৪ ফিট উচ্চতায় রক্ষাবাঁধ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে পানিউন্নয়ন বিভাগ। যা চলতি বছরের জুন মাসেই বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সম্পূর্ণ করতে দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ।

পানি উন্নয়ন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ৩৮কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চলমান কাজ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে খাজুরা পয়েন্ট পর্যন্ত অন্তত ৫ কিলোমিটার ব্লক প্রটেকশন দ্বারা নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা যায়, সৈকতের ওই এলাকায় সমুদ্রের তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ায় ব্লক প্রটেকশন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাকি বেড়িবাঁধ পরিকল্পনানুযায়ী সাড়ে ২৪ ফিট উচ্চতা এবং ১৯ ফিট প্রস্থ করে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা ইতোমধ্যে ৮৪ ভাগ কাজ শেষের পথে।

কলাপাড়া পানিউন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি আরিফ হোসেন জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কুয়াকাটায় ৩৮ কিলোমিটার বাধঁ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে জিরো পয়েন্ট থেকে খাজুরা পয়েন্টে ৫ কিলোমিটার পর্যটক বান্ধব ব্লক প্রটেকশন করা হচ্ছে। আর এই ব্লক প্রটেকশন এমন ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে যেখানে পর্যটকরা বসে সমুদ্র উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া ৩৩ কিলোমিটার এলাকা মাটি দিয়ে নির্মিত হবে। এছাড়াও কুয়াকাটা সমুদ্রপাড় রক্ষায় ১২ শত কোটি টাকার বাস্তাবায়ন প্রকল্প সাবমিট করা হলে ৯ শত কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ১৩৮ কোটি টাকার চলমান বাঁধ রক্ষা প্রকল্প চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া কুয়াকাটা উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্প রক্ষায় জলবায়ূ পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে পর্যটন বান্ধব সরকার।