পত্রিকা এজেন্টপুত্র মারধরের ঘটনায়

সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে ওসির বাতিলকৃত আসামিগণ পিবিআই প্রতিবেদনে সংযুক্তি

সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে আলোচিত পত্রিকা এজেন্টপুত্র নাবিন মন্ডলকে মারধরের ঘটনায় বেলকুচি থানার বিতর্কিত সাবেক ওসির বাতিলকৃত চার আসামিকে অবশেষে তদন্তে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমলি আদালত (বেলকুচি) অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন পিবিআই।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক সোহেল রানা অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে বাদ পড়া মন্ডল গ্রুপের জিএম প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাকিম মন্ডল, বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ, বেলকুচি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজীবসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আমলী আদালত (বেলকুচি) অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

জেলা আদালতের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, বেলকুচি উপজেলা পত্রিকা এজেন্টপুত্র মারধরের ঘটনায় পিবিআইয়ের তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। অভিযোগপত্রটি পর্যবেক্ষণ করে সংশ্নিষ্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ পিবিআইর এসপি রেজাউল ইসলাম বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর বলে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস তদন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আদালতে সাক্ষীদের জবানবন্দি উপস্থাপন করে অবশেষে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট কেন্দ্রকরে বেলকুচি উপজেলার পত্রিকা এজেন্ট দৌলত মন্ডলপুত্র নাবিন মন্ডলকে গত ১০ জুন মারধর করেন উল্লেখিত অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় বেলকুচি থানায় মামলা নিতে শুরু থেকেই টালবাহানা করেন বেলকুচির সাবেক ওসি গোলাম মোস্তফা। পরবর্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তে কারচুপি, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রধান আসামিগণকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে নারাজি দেন নাবিন মন্ডল। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেন পিবিআইকে।