পরকীয়া জেনে ফেলায় ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় শিশুসন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে শেফালী আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈইপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
নিহত হৃদয় (৯) ওই এলাকার লিবিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে এবং ৩৫নং বাড়ৈইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
আগুনে হৃদয়ের ছোট ভাই শিহাবও (৭) গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী বাইরে থাকার সুবাদে শেফালী আক্তারের সঙ্গে পাশের এলাকার মোমেন দীর্ঘদিন পরকীয়া করে আসছে। বিষয়টি ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা জেনে গেলে এ নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে মোমেনকে নিয়ে শেফালী সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করেন। শুক্রবার ভোরে দু’জন মিলে হৃদয় ও শিহাবকে ঘুমন্ত অবস্থায় কাঁথায় পেঁচিয়ে আগুন দেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে ঝলসে যায় তারা।
হৃদয় ও শিহাবের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে হৃদয়কে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আর শিহাবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এম এ হক জানান, প্রাথমিকভাবে পরকীয়ার জেরে মোমেন ও শেফালী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে শেফালীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর মোমেনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
স্কুলছাত্র হৃদয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে আটক শেফালী আক্তার ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘মোমেন তার ছেলেকে হত্যা করেছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন