পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র

উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ছিল নতুন ধরনের একটি রকেটের সফল পরীক্ষা। এই ক্ষেপণাস্ত্র‘শক্তিশালী ও বিশালাকৃতির পরমাণু ওয়ারহেড’ বহনে সক্ষম । সোমবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই রোববার সকালে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে গিয়েছিল বলে আনুভূমিক দিক দিয়ে এটি ৭০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু একে দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করা হলে ক্ষেপণাস্ত্রটি চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারত।

কেসিএনএ জানিয়েছে, রোববার পিয়ংইয়ং নতুন ধরনের ‘মধ্য/দূরপাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক রকেট, হোয়াসং-১২’র পরীক্ষা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ব্যক্তিগতভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেছেন ।

বার্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, রকেটটির ‘প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি ও বৈশিষ্ট্য’ পরীক্ষা করার জন্য রোববার এটি নিক্ষেপ করা হয়। রকেটটি একটি শক্তিশালী ও বিশালাকৃতির পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ১১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর ৭৮৭ কিলোমিটার দূরের নির্ধারিত লক্ষ্যে এটি পতিত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বরাত দিয়ে কেসিএনএ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়াকে সচেতনভাবে প্ররোচিত করার চেষ্টা করে তাহলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় থেকে এটি রেহাই পাবে না।

প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে, মার্কিন আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োজন। গত কয়েক বছরে পাঁচটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।

এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বিষয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে। মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি বলেছেন, সময় হয়েছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর জবাব দেওয়া।