পরীক্ষা শুরু হয়ে আধা ঘন্টা পেরুতেই ফেসবুকে বাংলা প্রশ্ন!

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ না পাওয়া গেলেও পরীক্ষা চলাকালেই পরীক্ষাটির বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এবং সৃজনশীল প্রশ্ন ফেসবুকে পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শেষে আসল প্রশ্নের সঙ্গে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মিল না পাওয়া গেলেও সৃজনশীল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

ফেসবুকের ‘Ssc all board question out 2019-√100%’ নামের একটি পেজে শনিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পোস্ট করা হয়। এ পোস্টের প্রশ্নগুলো একটু ঝাপসা থাকায় ইনবক্সে পরিষ্কার ছবি এবং বহুনির্বচনীর সমাধান চেয়ে কমেন্ট করছেন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। অন্যদিকে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষাটির সৃজনশীল প্রশ্নের ৩ নং সেটের প্রশ্ন পোস্ট করা হয়। বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সঙ্গে অসল প্রশ্নের মিল পাওয়া না গেলেও সৃজনশীল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র সচিব এবং পরীক্ষায় ডিউটির দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা পরীক্ষার কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন। জরুরি যোগাযোগের জন্য শুধু কেন্দ্র সচিব একটি মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন, তাও মোবাইলটিতে ক্যামেরা থাকা যাবে না। এছাড়া শিক্ষার্থী ও ডিউটি শিক্ষকরা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবের না।

এমন সব কড়া নির্দেশনার পরও পরীক্ষা চলাকালে কীভাবে প্রশ্নপত্র ফেসবুকে আসল তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় সাব কমিটি ও চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস অথবা কোনো ধরনের প্রশ্ন ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে এমন খবর আমাদের কাছে নেই।’

ফেসবুকে প্রশ্ন পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কোনোভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্ভব নয়। যদি পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্ন ফেসবুকে আসে তবুও সেটা আসল নাকি নকল তা দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম আছে, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ১ ঘণ্টা পরেই সে চাইলে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে পারবে। হয়তো এমনটিই হয়েছে। কোনো পরীক্ষার্থী ১ ঘণ্টা কেন্দ্রে ছিল, পরীক্ষা দিয়েছে, বের হয়ে এসে সেই প্রশ্নের ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে। কত রকম দুষ্টু চক্র যে আছে সবাইকে তো ধরতে পারব না।’

জিয়াউল হক বলেন, ‘তবে আজই হয়তো আমরা একটা নির্দেশনা দেব, কেউ ১ ঘণ্টা পরীক্ষায় এটেন্ড করে যদি বের হয়ে যেতে চায় তাহলে তাকে প্রশ্ন কেন্দ্রে জমা রেখে আসতে হবে।’