পলাশবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্ণীতি তদন্তের দাবীতে মানববন্ধন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পবনাপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগমের ছত্রছায়ায় বিদ্যালয়ের মূল্যবান সরকারি সম্পদ তছরূপসহ সীমাহীন নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি ও আত্মসাতের সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সর্বস্তরের এলাকাবাসির আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগমের নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি ও আত্মসাতের বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, মিজানুর রহমান, হারুন মিয়া, সাগর মিয়া, আসাদুজ্জামান, রেজাউল করিম ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়টিতে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস সমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় না। এ ধারাবাহিকতা বর্তমানেও অব্যাহত। দিবস গুলোর বিপরীতে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্য নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে শহীদ মিনার নির্মাণের বরাদ্দকৃত অর্থ, পরিত্যক্ত টিন-রড, ইট, পুরাতন পাঠ্যবই ও অন্যান্য মালামাল সমূহ বিক্রয়ের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলেন প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগম এবং দপ্তরী আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অব্যাহত এসব অনিয়ম-দুর্ণীতির বিরুদ্ধে এলাকার ১৫৬ জন ভূক্তভোগি শিক্ষার্থী অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গত ২৬ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অদ্যাবধি কোন সুষ্ঠু তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে ভূক্তভোগি শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে চাপা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ সমূহ আমলে নিয়ে সরেজমিন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনকারীরা অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থী অভিভাবক চামেলী ও মরিয়ম বলেন, বিদ্যালয়ের ঠিকমত খেলাপড়া হয় না। শিক্ষার্থী দ্বারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে নেন। এদিকে নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দের সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে; শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানববন্ধন চলাকালে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নাছিমা বেগমের ছেলে নাজিবুর রহমান নয়ন গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতেই হামলা চালিয়ে মানববন্ধনটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এঘটনায় মানববন্ধন আয়োজকসহ প্রতিবাদী এলাকাবাসির মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে ভূক্তভোগি মহল জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।