পাটখাতের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও রপ্তানি সম্প্রসারণে অংশীজনদের সহযোগিতা করা হবে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, পাটখাতের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকার এ খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বিজেএ চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এফ এম সাইফুজ্জামানসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, সরকার পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষকদের অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করছে। এজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, কৃষকরাও পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। ইতোমধ্যে, এ খাতের উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান রয়েছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এবছর ইতোমধ্যে পাট মৌসুম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচাপাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক।

পাট চাষিগণ পাটের ভালো দাম পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। কোনো কারণে যেন কাঁচাপাটের দাম অসহনীয় না হয় সেজন্য সর্বদা কাঁচাপাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।