পাবনার ঈশ্বরদীতে অমর একুশে শ্রদ্ধা জানাতে পারছেন না ৪ গ্রামের মানুষ!

পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার সাঁড়াগোপালপুর এলাকার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬শ’ শিক্ষার্থী ও ৪ গ্রামের মানুষ অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানাতে পারছেন না।

ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়াগোপালপুর এলাকার একমাত্র শহীদ মিনারটি সম্প্রতি এক রাতে রাতের আঁধারে ভেঙে নিশ্চি‎হ্ন করে দেওয়ার কারনে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শহীদ মিনার না থাকা পৌর এলাকার সাঁড়াগোপালপুর, বকশীরচক, পাকশী ইউনিয়নের বাঘাইল মন্নবীপাড়া ও সিবেল হাট গ্রামের এলাকাবাসী, সাঁড়াগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাঁড়াগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রভাতী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা আসছে একুশে ফেব্রæয়ারিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন!

স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী তানজীরুল আলম মিটো বলেন, শহীদ মিনারটি যখন নির্মাণ করা হয় তখন এলাকাবাসীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছিল অথচ ভাঙার সময় কাউকে বলার প্রয়োজনও মনে করা হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক। শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার কারনে এবার আমরা আশেপাশের ৪ গ্রামের মানুষ ও শত শত শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলাপ করে শহীদ মিনারটি পুণরায় নির্মাণ করে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, স্কুলভবন নির্মাণের প্রয়োজনে শহীদ মিনার ভাঙা হয়েছে, কিন্তু এভাবে কাউকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে কেন ভাঙা হলো তা খতিয়ে দেখা হবে।

বিশিষ্ট সমাজসেবক মাসুদুল ইসলাম বলেন, ভাষার মাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। যে ভাষার জন্য পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালি জাতি রক্ত ঝড়িয়েছে সেই ভাষার মাসে এমন ঘৃণ্যতম অপকর্মের প্রতিবাদ তীব্র নিন্দা জানাই।