পাবনার ঈশ্বরদীতে আগে-পরে ফুল দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালেন মেয়র এবং ইউএনও

একুশের প্রথম প্রহরে বাস টার্মিনালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগে-পরে ফুল দেয়া নিয়ে পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে ১২.০১ মিনিটে এই দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হয়।

রাত ১২টার আগেই ঈশ্বরদী পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ, পুলিশ বিভাগ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মিনারের পাদদেশে সমাবেত হয়। ১২.০১ মিনিটে ঘোষক প্রথমে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ঘোষণা দিলে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার উদ্ভব হয়।

এসময় ফুল দিতে আসা বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। ফুল দেয়া নিয়ে এমন ঘটনায় উপস্থিতিদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বিরূপ সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পরিষদের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হন। এসময় তাঁরা বেশ কিছুসময় ফুল দেয়া থেকে বিরত থাকেন এবং উপস্থিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও আগে ফুল দিতে বলেন। বেশ পরে তাঁরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

তাদের বক্তব্য রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ফুল দেয়া হবে।
আর পৌর পরিষদের বক্তব্য ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীভূক্ত পৌরসভার মেয়রের অবস্থান উপরে থাকায় তাঁর নেতৃত্বেই পুষ্পস্তবক আগে অর্পণ করা হবে।

এসময় মেয়র ও ইউএনও ছাড়াও পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নায়েব আলী বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, আতিয়া ফেরদৌস কাকলীসহ পরিষদের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা বলেন, ‘২০২০ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিভূক্ত পৌর মেয়রের অবস্থান ২৫ নম্বরের প্রথমে। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কোন অবস্থান নেই।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। বিধায় আমরা রাষ্ট্রের বা রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। উপজেলা পর্যায়ে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে সকল দিবসের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি শুধুমাত্র রাষ্ট্রিয় প্রোগ্রামে আসন বিন্যাস বা বসার ক্ষেত্রে। যুগ্ম সচিব বা উপ সচিব পদমর্যদা সম্পন্ন হলেই কেউ ফুল নিয়ে সামনে যাবে এটা বা অন্য কোথায়ও প্রযোজ্য নয়। কিছুদিন আগেও আমাদের কাছে চিঠি এসেছে।’