পাবনায় ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম: দিশেহারা মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ!

পাবনায় বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। লাগামহীন এই মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা মধ্যবিত্ত থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কেন এই মূল্যবৃদ্ধি তা জানেন না তাঁরা। গত এক মাসের ব্যবধানে সয়াবিন ও সরিষার তেল, ডাল, চিনি, চাল, মাছ, মাংসের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আলু আর শাক-সবজির দাম। তাদের অভিযোগ এই মূল্যবৃদ্ধিতে প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই বললেই চলে। খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি করা হলেও,তা চাহিদার তুলনায় কম।

জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৫৫ টাকা। সরিষার তেলের লিটার ২০০ টাকা, এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকায়। চিনি এক মাস আগে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিকোচ্ছে ৮০ টাকায়। দেশী মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, খোলা লবণ ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি জিরা ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে চালের বাজারেও। ডিম ও মাংসের দাম যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়েছে। পেঁপে প্রতি কেজি ২৫ টাকা,আলু, ২৫/৩০ টাকা,করলা ১০০ টাকা, বেগুন ৪০/৫০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, লাউ ১টি ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, শসা ৪০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। প্রতিদিনই বেড়ে চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা গ্রামের বাজারের ক্ষুদ্র দোকানদার। পণ্যের দাম বাড়ায় আড়তদারেরা। তারা আমাদের কাছে যখন যে পণ্য যে দরে বিক্রি করবে আমরাও সেই দরে ক্রেতাদের দেবো। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আছেন পণ্য মজুত করে সিজনে বেশি দামে বিক্রির অপচেষ্টা করে। তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনলে বাজার কিছুটা ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে।