পাবনার গাজনার বিলে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও সোঁতিজাল দিয়ে মাছ শিকার!
পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে সরকারের জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালাকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও সোঁতিজাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
এতে শুষ্ক মৌসুমে বিলে মাছের আকাল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ঐ বাঁধের কারণে বিলে পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বিল পাড়ের জমিতে যথাসময়ে রবি ফসল আবাদ ব্যাহত হতে পারে বলেও স্থানীয় কৃষকরা জানান।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশাল এই গাজনার বিলে ১৬টি জলমহাল রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই সব জলমহাল উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমিতির মাঝে বিভিন্ন মেয়াদে বন্দোবস্ত দিয়েছে। বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী উম্মুক্ত ওই সকল জলাশয়ে কোন প্রকার বাঁধ না দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মাছ শিকার করতে হবে। সেই সঙ্গে মা মাছ শিকার করা যাবেনা।
কিন্তু মৎস্যজীবী সমিতি গুলো কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিলের ১০/১৫টি পয়েন্টে অবৈধ বাঁশের বাঁধ ও সোঁতিজাল দিয়ে ছেঁকে মাছ শিকার করছে। বিলপাড়ের উলাট গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম বলেন অবৈধ ওই সোঁতিজালে মা মাছের পাশাপাশি পোনা মাছ পর্যন্ত ধরা পড়ছে। এতে শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বিল মাছ শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিলপাড়ের বোনকোলা গ্রামের কৃষক তায়জাল উদ্দিন খান বলেন অবৈধ ওই বাঁধের কারণে বিল থেকে দ্রæত পানি বের হচ্ছেনা।
আর দ্রুত পানি বের না হওয়ার কারণে বিলপাড়ের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলতি রবি মৌসুমে ওই সকল জমিতে যথা সময়ে পেঁয়াজ, মাশকালাই, গম এবং বোরো ধানসহ অন্যান্য রবি ফসল আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন, শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঐ জাল অপসারণ এবং বাঁশের বাঁধ ভেঙ্গে ফেলা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন