পাবনার বেড়ায় চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

পাবনার বেড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বেলে-দো-আঁশ মাটিতে প্রতিবছর ব্যাপক পরিমাণ চিনাবাদাম উৎপাদন হয়ে থাকে। চরাঞ্চলের অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম এই চিনাবাদাম। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাষিরা প্রচন্ড হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে চিনাবাদাম চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে বাদাম চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঘ মাসের শুরু থেকে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাদাম চাষের মৌসুম এবং জমিতে বাদাম ফসলের বীজ বপণের উপযুক্ত সময়। কয়েকজন বাদাম চাষী জানান, গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে বাদাম বীজ। তারা বলেন , গতবছর প্রতি মণ বাদাম বীজের দাম ছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কিন্তু এ বছর সেই একই ধরনের বীজ ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা মণ দরে বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। বীজ সহ সব ধরনের উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হওয়ার শঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষীরা।

চর নাগদাহ গ্রামের বাদাম চাষী তোফাজ্জল বলেন, গত এক সপ্তাহে তিনি ১০ বিঘা জমিতে বাদাম বীজ বপণ করেছেন। প্রচন্ড শীতের মধ্যে কৃষি শ্রমিক পাওয়া খুবই দুষ্কর হয়ে পড়েছে, তার উপর এ বছর বাদাম বীজের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় অনেক চাষী চলতি বছর বাদাম চাষে অনিহা প্রকাশ করছেন। চর সাফুল্লা গ্রামের গজনবী মোল্লা জানান, বীজসহ সব ধরনের উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি ২০ বিঘা জমির স্থলে ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা বলেন, চরাঞ্চলে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৭শ বিঘা জমিতে বাদাম চাষীরা বাদাম বীজ বপণ করেছেন এবং আগামী ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাদাম বীজ বপণের কাজ চলবে বলে তিনি জানান।

বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত কবীর জানান, গত বছর এ উপজেলায় চিনাবাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৪’শ ৮০ হেক্টর জমিতে এবং চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪’শ ৯০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।