পাবনার সুজানগরে কলেজের সামনে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরাসহ পথচারী

পাবনার সুজানগর উপজেলার পৌর শহরের সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে স্থানীয় হোটেলগুলোর ফেলানো নোংরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীদের।

এদিকে শুধু ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধই নয়, কমপ্লেক্সের নিচে ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করার পাশাপাশি দিনে-রাতে প্রায় সবসময় আড্ডা চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

সুজানগর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাবিনা খাতুন বলেন, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ সহ্য করে নাকে কাপড় দিয়ে প্রতিদিন এ পথ দিয়ে কলেজে চলাচল করতে হচ্ছে, এতে আমরা অসুস্থ্যতা বোধ করি।
স্থানীয় শ্রী সুবাস চন্দ্র নামে এক ব্যক্তি জানান, শুধু ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধই নয়, কমপ্লেক্সের নিচে ফাঁকা জায়গায় বসে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করার পাশাপাশি দিনে-রাতে প্রায় সবসময় আড্ডা চলে মাদকসেবী বখাটেদের।

সুজানগর পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর হাসান উদ্দিন জানান, পৌরসভার গাড়ি গিয়ে রাস্তার সব স্থান থেকে প্রতিদিন ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার করে থাকে, আর হোটেল ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা জমা রাখতে বলা হলেও তারা তা মানছে না।
সুজানগর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস শুকুর জানান, শুধু হোটেল ব্যবসায়ীই নয়, বাজারের অনেক ব্যবসায়ীই তার প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা কলেজের সামনে এনে প্রতিনিয়ত ফেলে যাচ্ছে। কোনো ধরনের নিয়ম-নীতিই মানছে না তারা।

সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন, মহিলা কলেজের ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ আমাদের শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক এ ভাগাড়ে আর্বজনার দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে।
সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাননান জানান, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আবুল কাশেম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীনুজ্জামান শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধ সহ্য করে এ পথ দিয়ে চলাচল করে থাকে। তাই সবার অসুবিধার কথা চিন্তা করে অতিদ্রæতই এ স্থানটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা জানান, হোটেল মালিকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কলেজের সামনে ময়লা আবর্জনা না ফেলানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রওশন আলী জানান, উক্ত স্থানে ময়লা আবর্জনা না ফেলানোর নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।