পাবনার সুজানগরে নির্বাচনী সংঘর্ষ : নৌকার অফিসে আগুন, গুলিবৃদ্ধসহ ১৫
পাবনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুজানগরে সহিংস হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। শনিবার উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে মানিহাট ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন, অপরদিকে একই অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীরও। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, বনকোলা গ্রামের মিলন খানের ছেলে মোতালেব (৩৭), আব্দুল মজিদের ছেলে সাগর (৩৫) ও মৃত আব্দুর রহমান খানের ছেলে ফজলু (৫৫)। আহত মোতালেবের অবস্থা অবনতি হলে তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম বলেন, আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিকের বাড় বনকোলা এলাকায় হওয়ায় তারা আমাদের একটি নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর করে নৌকায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মুহুর্তের এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নৌকার কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ সহকারে বনকোলা বাজারের দিকে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় মিছিলের লোকজন দিগবিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় আমাদের প্রায় ১০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা সফল হবে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিক বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা অতর্কিত ভাবে বনকোলা বাজারে এসে আমার সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে ও আমার নির্বাচনী প্রচারণার অফিস ভাংচুর করে। তারা আমার কর্মীদের কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করেছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনে নৌকার প্রার্থী আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। আমি বিষয়টি লিখিত আকারে কাল নির্বাচন অফিস ও থানায় অভিযোগ করবো বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন