বশেমুরবিপ্রবিতে ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগ উন্নয়ন ফান্ড থেকে আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পরবর্তীতে জানাজানি হলে চাপ প্রয়োগ করে কর্মচারীকে দোষ স্বীকার করানোর অভিযোগ তুলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগেরই কর্মচারী মোঃ আবু সাঈদ। এদিকে কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান।

আজ (রবিবার) রেজিস্ট্রার বরাবর ন্যায্য বিচারের দাবি করে একটি আবেদন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ঐ কর্মচারী মোঃ আবু সাঈদ। আবেদন পত্রে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং পরবর্তীতে চাকরি থেকে অব্যাহতির ভয় দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেন তিনি (কর্মচারী)। এ ঘটনায় রেজিস্ট্রার বরাবর ড. হাসিবুর রহমান একটি চিঠি দিয়েছিলেন বলেও সংযুক্তি দেয়া হয়।

তবে অভিযোগ প্রত্যাখান করে শিক্ষক রাজনীতির শিকার হতে পারেন বলে দাবি করেছেন ড. হাসিবুর রহমান। একই সাথে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ঐ টাকা উক্ত কর্মচারী তুলেছিলো বলে অভিযোগের পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছেও ঐ কর্মচারী স্বীকার করেছেন এবং চাকরি চলে যেতে পারে এই ভয়ে এতদিন পর অভিযোগ তুলেছেন বলে জানিয়েছেন ড. হাসিব। সেই সাথে সংযুক্ত চিঠিতেও তার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে বলে দাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের।

তবে সংযুক্ত চিঠিটিতে স্বাক্ষর নকলের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেন নি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ দিয়েছে কর্মচারী। সংযুক্ত চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে আছে কিনা তা পরে যাচাই করে দেখা হবে।”

এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান।তিনি বলেন, “এর আগে স্বাক্ষর নকল করে টাকা উত্তোলন করে ঐ কর্মচারী। পরবর্তীতে আমিই এ বিষয়ে তথ্য দেয়ায় উক্ত কর্মচারী টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ও টাকা ফেরত দেয়।আজ আবার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যার সংযুক্তিতে দেয়া চিঠির স্বাক্ষরও নকল।”

অন্যদিকে ন্যায্য বিচার দাবি কর্মচারী মোঃ আবু সাঈদ বলেন, “ঘটনা তদন্ত করা হোক।আমাকে দিয়ে স্যার টাকা তুলিয়ে পরে আমাকেই ফাসিয়েছেন।”