পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীরপাড়ে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র


পাবনার সুজানগরের সাতবাড়ীয়া সংলগ্ন বিশাল বিস্তীর্ণ পদ্মা নদীরপাড়ে গড়ে উঠতে পারে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র। আর এখান থেকে সরকারের প্রতি বছর আয় হতে পারে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ইতোমধ্যে পদ্মা নদীর ওই পাড় এলাকায় মিনি কক্সবাজার হিসেবে জনমনে পরিচিতি লাভ করেছে।
সেখানে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন পার্ক প্রতিষ্ঠা না করা হলেও শুধু পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিশেষ করে শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিন পাবনা জেলা ও সুজানগর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার শত শত ভ্রমণ পিপাসু নারী-পুরুষ পদ্মাপাড়ে আনন্দ ভ্রমণে ছুটে যান। চলতি বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বলেন, এলাকায় তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। সেকারণে স্থানীয় পর্যটকরা ছুটির দিনে পদ্মা নদীর ওই পাড়ে এসে পরিবারপরিজন নিয়ে নৌকা ভ্রমণ এবং পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এদের মধ্যে কোন কোন পরিবার আবার পদ্মা নদীতে নৌকা ভ্রমণের পাশাপাশি বনভোজনও করে থাকেন।
পদ্মাপাড়ে আনন্দ ভ্রমণে আসা পর্যটক পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষক আমিনুল হক বলেন, পদ্মাপাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক নয়নাভিরাম। তাছাড়া এখানকার পরিবেশও অত্যন্ত সুন্দর। সেহেতু পদ্মার নদীর ওই পাড়ে বাণিজ্যিকভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে।
এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পদ্মাপাড়ের ওই এলাকার কিছু অংশ ভরাট করে শুধু শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য একটি শিশুপার্ক এবং ২/৪টি হোটেল রেস্টুরেন্ট গড়ে তুললেই যথেষ্ট। স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, পদ্মা নদীর ওই পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন