পাবনায় মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বর্বর নির্যাতন! থানায় অভিযোগ
পাবনার বেড়া উপজেলায় মোবাইলে গজল শোনার অপরাধে মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে। শিহাব (১৩) নামে ওই শিক্ষার্থী বেড়া পৌর এলাকার বৃশালীখার রহিমা খাতুন মদিনাতুল উলুম নুরাণী হাফিজিয়া মাদরাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র ও পৌর এলাকার সান্ড্যালপাড়া মহল্লার সোহেল রানার ছেলে। গত সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
থানার অভিযোগপত্র ও নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্র জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে সে তার বন্ধুর মোবাইলে গজল শুনছিল। সে সময় মাদরাসার সুপার মোঃ রহমতুল্লাহ এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে।
এসময় সে তার হাতে পায়ে ধরেও আঘাত থেকে রক্ষা পায়নি। সে সময় তাকে শাসিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বলা হয়। আঘাতের যন্ত্রণায় শিহাব সারারাত ঘুমাতে না পেরে কান্নাকাটি করতে থাকলে সকালে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে অভিযুক্ত মাদরাসা সুপার রহমউল্লার বিরুদ্ধে শিহাবের দাদী আঞ্জুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ স্বীকার করে সুপার মোঃ রহমতুল্লাহ বলেন, তাদের মাদরাসার মধ্যে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ হওয়ায় মোবাইল ফোন বাজানোর অপরাধে তাকে পেটানো হয়েছে।
মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোঃ মুকুল হোসেন জানান, শিশুটিকে নির্মম নির্যাতন করায় এলাকার অনেক অভিভাবক ক্ষুব্ধ। অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, শিশুটিকে নির্যাতন করার ব্যাপারে আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন