পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত,কুয়াকাটা ছাড়ছেন পর্যটকরা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে।

গতকাল বিকেল থেকে গুড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ—নদীর পানি। উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। ফলে নিরাপদ থাকতে কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করেছে পর্যটন নগরিতে আগত ভ্রমন পিপাসুরা। গতকালই বিকেল থেকেই অনেক পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে অবহাওয়ার পরিবর্তন ও বিপদ সংকেত পেয়ে হোটেল ছাড়ছেন সিংহভাগ পর্যটকরা। খুলনা থেকে আসা পর্যটক মামুন বলেন, কুয়াকাটায় গতকাল এসেছিলাম। ইচ্ছে ছিল কদিন থাকার। কিন্তু আবহাওয়া ভালো না থাকার কারনে আজ চলে যাচ্ছি। এর মধ্যে কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না।

কুয়াকাটা সমুদ্রবাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আমার রিসোর্টের অনেক পর্যটক চলে গেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেকেই থাকতেন বলে জানান তিনি।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা প্রস্তুত আছি পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে৷ গতকাল থেকেই আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাইকিং করছি এবং তাদেরকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।

এদিকে ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় উপজেলায় ১৭০ সাইক্লোন শেল্টার ও ২০ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩ হাজার ১শ ৬০ জন সিপিপি সদস্যদের। উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।