পাহাড় ধস: ৫০ ফুট গভীর খাদে মিলল আরেক সেনা সদস্যের লাশ
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় চাপা থেকে আরেক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম আজিজুর রহমান। তিনি মাদারীপুরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় একজন সেনা কর্মকর্তা। নিহত সৈনিক আজিজের লাশ প্রায় ৫০ ফুট গভীর খাদ থেকে ৩ দিন পর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ নিয়ে পাঁচ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নিহত সৈনিক আজিজসহ সেনাবাহিনী একটি দল পাহাড় চাপায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়েন। এ ঘটনায় মেজর মাহফুজ, ক্যাপ্টেন তানভীরসহ আরো চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত ৫ সেনা সদস্যকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টার গেলেও তা নামতে না পারায় আহত সেনা সদস্যদের তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার ভোরে রাঙামাটির মানিকছড়িতে একটি পাহাড় ধসে মাটি ও গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি জোন সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বেলা ১১টার দিকে পাহাড়ের একটি বড় অংশ উদ্ধারকারী দলের ওপর ধসে পড়লে তারা মূল সড়ক থেকে ৩০ ফুট নিচে পড়ে যান।
পরবর্তীতে একই ক্যাম্প থেকে আরো একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার সেনা সদস্যকে নিহত এবং ১০ সেনা সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধারের ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে। প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে ও গাছচাপায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রাঙামাটিতে ১০৭ জন, চট্টগ্রামে ৩০ জন, বান্দরবানে ছয়জন, খাগড়াছড়িতে দুজন এবং কক্সবাজারে দুজনের মৃত্যু হয়।
রাঙামাটিতে নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচ সেনা সদস্য রয়েছেন। পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক চালু করতে গিয়ে তারা প্রাণ হারান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন