পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ভাগ্য বদল হবে মৎস্য ব্যবসায়ীদের

পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চিথলিয়া নির্মানের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন।

২০২১ সালে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের জন্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মান কাজ শেষ হয়। এটি চালু হলে সরকারের অন্তত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করছেন এই খাতের-সংশ্লিষ্টরা।

এখানে নির্মান করা হয়েছে উন্নতমানের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। ওয়ার্কশন সেট, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য প্যাকেজিং সেট, আড়ৎঘর ভবন, জেনারেটর কক্ষ, আইস প্লান্ট, আবাসিক ভবন, অফিস ভবন, ইন্সপেকশন রুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিস্কাশনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। পুরাতন মৎস্য আড়ত জেলে ও পাইকারদের হাকডাকে সরগরম থাকলেও নিস্তদ্ধ পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সবকিছুই রয়েছে তালাবন্ধ অবস্থায়।

এলাকাবাসী আশা করছেন খুব শীঘ্রই উদ্ধোধন হবে পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ‍চিথলীয়া।

অবতরণ কেন্দ্রে পাড়েরহাট বন্দর থেকে চিথলীয়া যাওয়ার পথের ব্রীজ ও সড়কটির নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। শুধুমাত্র ইট সলিং-এর কাজ বাকি। অতিদ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানান সাধারণ জনগণ ও মৎস্য খাত-সংশ্লিষ্টরা। সড়ক নির্মান কাজ জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ব্রীজের কাজের দেখভালের দায়িত্বে নিযুক্ত ম্যানেজার মো: সুজন তালুকদার।

পাড়েরহাট মৎসজীবি সমাজ কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মোস্তফা আকন বলেন, অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলে মৎস্য ট্রলার মালিক, জেলে, আড়তদার, পাইকারসহ সবাই এক জায়গায় মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ পাবে’। পাড়েরহাট বন্দরের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো: মিজানুর রহমান খসরু খলিফা বলেন, ‘পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্ধোধনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপের কারণে ইলিশের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্টোর কিপার আ: ছালাম মিয়া বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে মৎস্য অবতরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হবে।