পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখেন ভুয়া চিকিৎসক
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফা বাজারে চেম্বার খুলে ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে টিএমএ মমিন নামে এক ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সে ধানিসাফা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বুড়ির চর গ্রামের মোদাচ্ছের তালুকদারের পুত্র।
টিএমএ মমিন রোগীর ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপসন) তার নামের পূর্বে ডাঃ লিখে ১৩ বছর ধরে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।তার চেম্বারেও বড় অক্ষরে নামের পূর্বে ডাঃ লেখা রয়েছে। সে নিজেকে ডিএমএ (ডিপ্লোমা মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট) কোর্স সম্পন্ন দাবি করলেও প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেনি।রোগীর ব্যবস্থাপত্রে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।যদিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করার কোন সনদ তার কাছে নেই।তিনি ডাক্তারি পেশায় যোগ্যতা হিসেবে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিসিএইচসিপি পরিচয় দেন।যদিও মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সরোয়ার জাহান এই পদ পদবি সম্পর্কে অবগত নন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজেকে ডাঃ পরিচয় দেওয়া মমিন প্রেসক্রিপসনে ভুয়া যোগ্যতা উল্লেখ করে দীর্ঘদিন ধরে অপচিকিৎসা করে আসছে।নিজেকে নিরাপদ রাখতে কখনো কখনো সাংবাদিক পরিচয় দেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে আসছেন তিনি।তার প্রেসক্রিপসনে লেখা রয়েছে এমএএইচএফডাব্লিউ এবং আরসিএএইচসিআইবি।রোগীরা এগুলোকে উচ্চতর ডিগ্রি মনে করেন।যা রোগীদের সাথে এক ধরনের প্রতারনা।
৬ ডিসেম্বর ইয়াসিন নামে ১০ বছরের এক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে তিনি ভুল চিকিৎসা দেন।ব্যবস্থাপত্রটি দেখালে তিনি তার ভুল স্বীকার করে বলেন, ঔষধ কোম্পানির লোকদের দেখানোর জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ওষুধ লেখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান,এমবিবিএস ও বিডিএস পাস করা ছাড়া কেউ নামের আগে ডাঃ লিখতে পারে না।যদি কেউ লিখে তার বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন