পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা : পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহনের পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে কলার ছড়ি ও ঈগল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।
কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থক এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাঈনুল ইসলামের দাবি, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর সমর্থক এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদারের লোকজন বড়মাছুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদারের দাবি,কলার ছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মাঈনুল ইসলামের লোকজন ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। এছাড়াও জামাল, মাহাবুব, শহিদুল এবং মুন্না নামে ৪ জন ঈগল প্রতীকের সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। তারা মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শামীম শাহনেওয়াজ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচন পরবর্তী এক মত বিনিময় সভায় সহিংসতা প্রতিরোধে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান। তিনি বলেন-সকলের আচার- আচরণ ও কর্মকান্ডে সতর্ক হতে হবে। কারো আচরনে প্রতিবেশী কষ্ট পেলে সে কষ্ট আমি আশরাফুর রহমান পাব। কাউকে আঘাত করলে সে আঘাত আমি আশরাফুর রহমান পাব। জনগনকে হয়রানি করা হলে সে হয়রানি আমাকেই করা হবে। আশরাফুর রহমানকে মাটিতে ফেলে তার ওপর দিয়ে হেটে গেলে এতে যে কষ্ট পাবো তার চেয়ে বেশি কষ্ট পাব কাউকে আঘাত করলে। এই কথাগুলো আমার নেতাকর্মীরা মনে রাখবেন। মনে রাখবেন- নিরাপদ মঠবাড়িয়া আমাদের অঙ্গিকার।
বড়মাছুয়ার ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত অফিসার ও ফোর্স রয়েছে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন