পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বীর নিবাস নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের চরকখালী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খানের নামে বরাদ্দকৃত বীর নিবাস নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৩ বছর পূর্বে নির্মান কাজ শুরু করে যেনতেনভাবে স্থাপনাটি কোন রকম দাঁড় করালেও এখনও বসবাসের অনুপযোগীই রয়ে গেছে।

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খানের বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে।প্রথমে এক ঠিকাদার কাজ শুরু করে ১ বছর ফেলে রাখে। এরপর আরেকজন ঠিকাদারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে কাজটি দেওয়া হয়।ওই ঠিকাদার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোন রকম কাজ শেষ করলেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি।

এর মধ্যে রয়েছে- টিন শেডে এঙ্গেল কম দেওয়া,একটি বাথরুমের ভাঙা কমেট পরিবর্তন না করা এবং আরেকটি বাথরুমের উঠে যাওয়া টাইলস লাগিয়ে না দেওয়া, পানির লাইন ঠিক না করা, ফল্স ছাদে লিপ না দেওয়া, দেয়ালের আস্তরন নকের খোঁচায় উঠে যাওয়া, দরজার ফ্রেম বিল্ডিংয়ে সাথে পুরোপুরি সংযুক্ত না হওয়া, প্যাটার্ণ স্টোন ঢালাই দিতে উপকারভোগীর নিকট থেকে ১৭ হাজার টাকা নেওয়া সহ বিভিন্ন অসঙ্গতি দৃশ্যমান রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার কাগজ পত্র দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম পরে বলবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ঠিকাদার আজিম উল হকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেন।তিনি আরও বলেন, এখনও একাধিক দপ্তরের ইন্সপেকশন বাকি রয়েছে। কাজ সন্তোষজনক না হলে পুরো বিল নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

অধ্যক্ষ আজিম উল হক জানান,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জালাল মিয়া কাজটি দেখাশুনা করেছেন।খোঁজ নিয়ে অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘরের জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।অথচও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নির্মানকাজে নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট ব্যবহার করেছে। দেখার যেন কেউ নেই।দেয়ালের আস্তরন এখনই খসে পড়ছে। আমার পকেট থেকেও নির্মান কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।তারপরও অনিয়ম হয়েছে।এখন পর্যন্ত জানালার গ্লাস ও বাথরুমের কাজ অসম্পন্ন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।