পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জলিল খান (৪০) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২ জুন) সকাল ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যবসায়ী উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের মনু খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে বরিশাল শেবাচিমে রেফার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ছোট মাছুয়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী জলিল খানের নিকট থেকে জমি রেজিস্ট্রি দেওয়ার কথা বলে ২০১১ সালে হেমায়েত হাওলাদার ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়।২০১৭ সালে ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী ওই জমিতে ৭২ হাজার টাকা খরচ করে বালু ভরাট দেয়।ব্যবসার কাজে ব্যবহারের জন্য ওই জমিতে একটি দোকান ঘরও স্থাপন করেন জলিল খান।

সম্প্রতি হেমায়েত হাওলাদার জমি রেজিস্ট্রি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং দোকান ঘর উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেন। এরই জের ধরে ঘটনার দিন প্রতিপক্ষরা ভুক্তভোগীকে তাদের বাড়ির সামনে সরকারি রাস্তায় পথরোধ করে।তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।এতে প্রতিবাদ করলে হেমায়েত হাওলাদারের নির্দেশে তার ছেলে উচ্ছৃঙ্খল শাহিন,তুহিন এবং সহযোগী এমাদুল লোকজন নিয়ে জলিল খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।আহত অবস্থায় সে ডাকচিৎকার করলে হামলাকারীরা তার কোমরে থাকা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ব্যবহৃত একটি স্বর্ণের আংটি নিয়ে যায়।এ সময় তার সাথে থাকা আইয়ুব আলী খান হামলা থেকে রেহাই পেতে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘটনার দিন আগের রাতে থানা পুলিশ আমাদের নিরীহ ২ জন লোক ইব্রাহীম খান ও রফিকুল আকনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠায়।কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলাটি করা হয়।৭ জনকে নামীয় এবং ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়। এ সুযোগে প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালায়। তারা এখন জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে বায়না করা ওই জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করতে চায়। কথায় কথায় আমাদের হত্যার হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে হেমায়েত হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি।আর ১ জুন রাতে ৯৯৯ – এ ফোন পেয়ে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।