পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঝুঁলে আছে শিক্ষা প্রকৌশলের মেরামত কাজ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নতুন ভবন নির্মান, পুননির্মান, মেরামত ও সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম দৃশ্যমান হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা – কর্মচারিরা নিরলসভাবে কাজ না করায় এবং কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্বে অবহেলা করায় বেপরোয়া অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সূর্যমণি হাচানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মেরামতের ১০ লক্ষ টাকার কাজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করেনি
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ঠিকাদারের লোকজনের সাথে যোগসাজশ করে ২০১৮ – ১৯ অর্থ বছরের এ কাজটি এখনো অসম্পূর্ণ অবস্হায় ফেলে রাখায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটিতে আসা মেরামতের বরাদ্দ দিয়ে ৩ কক্ষবিশিষ্ট এক তলা ভবনের ওপর ছাদ দিয়ে আরও ৩টি কক্ষ নির্মান করা হয়। দরজা – জানালা না লাগিয়ে এবং রং এর কাজ না করে বিল উঠানো হয়। বিল উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ঠিকাদারের প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছে।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি সজিব মিয়া জানান, মূল ঠিকাদার কোন অনিয়ম করেনি। মূলত আমার ব্যক্তিগত কারনেই কাজটি ফেলে রাখা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ফেলে রাখা কাজট সম্পন্ন করব।

মূল ঠিকাদারের নাম জানে না কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী। ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে চিনেন তিনি।

আকাশ এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম বললেও ঠিকাদারের নাম ও মোবাইল নাস্বার দিতে পারেনি প্রকৌশলী। ঠিকাদারের প্রতিনিধিও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

হানিফ মল্লিক নামে ওই উপ সহকারি প্রকৌশলী জানান, ওয়ার্ক অর্ডারে মূল ঠিকাদারের নাম উল্লেখ নেই।২০১৮ – ১৯ অর্থ বছরের হাচানিয়া মাদ্রাসার ওই কাজটি কেন ফেলে রাখা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে কাজটি সম্পন্নকরণে ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে তাগিদ দেব।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বলরাম কুমার মন্ডলকে ৩ দিন ধরে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয় নি। তাকে না পেয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে ফোন দেওয়া হয়।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান, মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল থাকায় সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কার কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।