পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাহাত হত্যাকান্ড; থামছে না মায়ের কান্না

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বন্ধুদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় মেধাবী কলেজ ছাত্র রাহাত।
জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ প্রাপ্ত রাহাতকে হারিয়ে কান্না থামাতে পারছেন না তার মা বাবা।

গেলো বছরের ১৩ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে টিপ চাকু মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকান্ডের শিকার রাহাত মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শাহজালাল ওরফে শাহ আলমের পুত্র এবং হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধূলায় পারদর্শী রাহাত নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান থেকে ৩৫টি সিরামিক প্লেট ও ১২টি সুপেয় পানি পান করার গ্লাস প্রাপ্ত হয়। কিন্তু তার এ পুরস্কারগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।

সময় পেলেই রাহাত যে বন্ধুদের নিয়ে কখনো আড্ডা দিত কখনো গান করত আবার কখনো ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠতো সেই বন্ধুদের ছুরিকাঘাতেই নির্মমভাবে খুন হতে হয় তাকে।

রাহাতের মা নাসিমা বেগম বলেন, রাহাত ওইদিন পোলাও ভাত ও হাসের মাংস খেতে চেয়েছিল। আমি রান্নাও করেছিলাম।কিন্তু এটাই যে আমার বাবার শেষ খাবার তা বুঝতে পারি নাই।

কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাহাতের মা নাসিমা বেগম।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই।