পুরস্কারের কোন মূল্য নেই নাসিরুদ্দিন শাহ কাছে! ট্রফি দিয়ে দরজার হাতল

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের ট্রফি দিয়ে দরজার হাতল!
নাসিরুদ্দিন শাহ শুধু বলিউডের এক নামী অভিনেতাই নন, তিনি একাধারে মানবাধিকারকর্মী, কট্টর সমালোচক এবং একজন সক্রিয় মঞ্চকর্মী। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তিনি প্রায়ই সাহসী মন্তব্য করে সেলুলয়েড তারকাদের ভিড়েও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন শাহ আবারও পুরস্কার ও স্বীকৃতির প্রতি তার চিরদিনের উদাসীনতার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, পুরস্কার হিসাবে পাওয়া বিভিন্ন স্মারক এবং ট্রফি দিয়ে তিনি কি করেছেন। তিনি বলেছেন, পুরস্কারের কোন মূল্য তার কাছে নেই।

মুম্বাইয়ের কাছেই প্রবীণ এই অভিনেতার একটি খামারবাড়ি রয়েছে। সেখানকার দরজার হাতল বানাতে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের ট্রফি ব্যবহার করেছেন বলে একটি গুজব রটেছিলো। এই নিয়ে যথেষ্ট সরগোলও বাধে। তবে, নাসরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ওটি গুজব নয়, সত্য ঘটনা।

সাক্ষাৎকারে তাঁর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া মাত্র তিনি হাসিতে ফেটে পড়েন এবং জানান, গুজব নয়, সত্যিই তিনি পুরস্কারের ট্রফি দিয়ে দরজার হাতল তৈরি করেছেন। নাসরুদ্দিন শাহ বলেন, আমি এই ট্রফিগুলোর কোনো মূল্য খুঁজে পাই না।

তিনি বলেন, প্রথমবার পুরস্কার পেয়ে আমি খুশি হলাম। এরপর একের পর এক পুরস্কার আমার সেলফে জমা হতে থাকে। শিগগিরই আমি বুঝতে পারি এসব পুরস্কার এক ধরনের লবিংয়ের ফল। আর যারা লবিং করতে পারে তারাই পুরস্কার গ্রহন করছে।

তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতা জানান, পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়ে তিনি আনন্দ পেয়েছিলেন। তবে প্রতিযোগিতা করে পুরস্কার জেতার মধ্যে তিনি কোন ধরনের আনন্দ খুঁজে পেতেন না। তিনি বলেন এই প্রতিযোগিতামূলক পুরষ্কার সহ্য করতে পারি না।

নাসরুদ্দিন শাহ বলেন, যে কোনো অভিনেতা একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাদের জীবন ও শ্রম দিয়ে থাকেন। আপনি যদি তাদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিয়ে বলেন, আপনিই সেরা, তাহলে সেটি কি ন্যায্য হবে- এমন পাল্টা প্রশ্নও রাখেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি এসব পুরস্কার নিয়ে গর্বিত নই। এমনকি শেষ দুইটি পুরস্কারও সংগ্রহ করতে যাইনি। তাই, যখন খামারবাড়ি তৈরি করি তখন আমি এই পুরস্কারগুলো সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নেই। যে কেউ ওয়াশরুমে গেলেই দুটি পুরস্কার পাবে, কারণ সেগুলো ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের ট্রফি দিয়েই তৈরি করা হয়েছে।