পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জেলায় নিহত ৪
কুমিল্লা, রাজবাড়ী ও সিরাজগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকুযুদ্ধে’ আল আমিন ও এরশাদ নামে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। এ সময় অভিযানে অংশ নেয়া ডিবি পুলিশের ২ এসআইসহ ৪ ডিবি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
অভিযানে অংশ নেয়া ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, ডাকাতি প্রতিরোধে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে জেলার তিতাস এলাকায় ডিবির একটি টিম অবস্থান করছিল। গভীর রাতে ওই উপজেলার বাতাকান্দি-আসমানিয়া বাজার সড়কের নারায়নপুর কবরস্থানের সামনের রাস্তায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে ডিবির টিম সেখানে পৌঁছে।
কিন্তু ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল এলোপাথাড়ি গুলি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশও আত্মরক্ষায় ২১ রাউন্ড শটগানের গুলি চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৭ ডাকাতকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ আল আমিন ও এরশাদ নামের ২ ডাকাতকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ২টি দেশি এলজি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি ছোরা, ৭টি মুখোশ ও ২টি লোহার রডের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আল-আমিন (৩০) তিতাস উপজেলার উত্তর মানিকনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে এবং এরশাদ (৩২) জেলার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামের চরেরপাড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
আটক অপর ডাকাতরা হলেন, জেলার সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসনের ছেলে আরঙ্গজেব (৫০), সদর দক্ষিণ উপজেলার মিলন (৩৫), একই উপজেলার নাছির (২৭), তিতাসের শরীফুল (২৯) এবং মুরাদনগর উপজেলার আবু মিয়া (৪০)।
নিহত ডাকাত এরশাদের বিরুদ্ধে ৯টি এবং আল-আমিনের বিরুদ্ধে ৫টি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন এবং আটক ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৩-৪ করে মামলা রয়েছে বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।
নিহতদের মরদেহ শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য লালন হালদার নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি একনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে হাবাসপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হযরত আলী (৪২) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি গান, ১৪টি কার্তুজ, একটি কুড়াল, একটি হাসুয়া ও তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার পাইকপাড়ার শ্মশানঘাট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন