পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। বাজারে কৃষকের ঘরে মজুদ থাকা পেঁয়াজের সরবরাহও পর্যাপ্ত। তবু ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে তুলে নিচ্ছেন মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আগে আমদানি হওয়া এবং আমদানি প্রক্রিয়ায় থাকা পেঁয়াজ দিয়েই আরো দুই সপ্তাহ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার কথা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও এমনটা মনে করছে। আর জানুয়ারিতে ক্ষেতের পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে চলে আসার কথা। কিন্তু দুই দিনে দেশি পেঁয়াজের দাম গড়ে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে।

পরিস্থিতি এমন হয়েছে, সকাল, দুপুর, বিকেল-তিন বেলায় তিন রকম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। শুধু রাজধানীর বাজার নয়, সারা দেশের বাজারে পণ্যটির দাম আরো বেশি বেড়ে কোথাও কোথাও ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে বলে তথ্য এসেছে।

আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজও প্রায় একই হারে বেড়ে গতকাল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। যদিও গত শুক্রবার কৃষকরা দেশি পেঁয়াজ ও আমদানিকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি করেছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। সেই হিসাবে কৃষক ও আমদানিকারকের সঙ্গে গতকালের বিক্রির ফারাক ১০০ টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল তিন লাখ ২৯ হাজার ১২১ টন।

এবার দুই লাখ ৫৬ হাজার ২০৫ টন বেশি আমদানি হয়েছে। আর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে সংকট থাকার কথা নয়।