পেরুতে এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট

নতুন একজন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে পেরুর কংগ্রেস; এ নিয়ে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটি তৃতীয় রাষ্ট্রপ্রধান পেল।

আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিবেন ৭৬ বছর বয়সী কংগ্রেস সদস্য ফ্রানসিসকো সাগাস্তি, জানিয়েছে বিবিসি।

গত সোমবার প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিরোধী দলের হাতে থাকা কংগ্রেস। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসিত হন ভিজকারা। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

তার এই ক্ষমতাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে পেরুজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত দুই জন নিহত ও বহু প্রতিবাদকারী আহত হন।

ভিজকারাকে সরানোর পর পেরুর অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন কংগ্রেসের স্পিকার মানুয়েল ম্যারিনো। কিন্তু ম্যারিনোর বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভ দমনে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি উল্টে যায়। পুলিশি নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার ১২ সদস্য পদত্যাগ করলে চাপে পড়ে যান ম্যারিনো।

সঙ্কট মোকাবেলায় তার গৃহীত পন্থা নিয়ে আইন প্রণেতাদের অসন্তোষ ও চাপে রোববার পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

এরপর কংগ্রেসের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে পেরুর তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন সাগাস্তি।

কংগ্রেসের যে একমাত্র দল ভিজকারার অভিশংসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল তিনি সেই দলের লোক। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পাওয়ার পর তার ক্ষমতাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।

এই ভোটের আগে কংগ্রেস সদস্য আলবের্তো দে বেলাউন্দে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “পেরুর জন্য মূল বিষয় হচ্ছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও এই দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটানো।”

রয়টার্স লিখেছে, এমন এক সময়ে পেরুতে এ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, যখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তামা উত্তোলক দেশটিকে করোনাভাইরাস মহামারীর পাশাপাশি এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অর্থনৈতিক দশায় পড়ার শঙ্কার বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে।