প্রচলিত হিন্দু আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই- হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস
দেশের প্রচলিত হিন্দু আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
তিনি বলেছেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেসব সমস্যার সমাধান না করে সরকার ও একটি মহল হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। শাস্ত্রীয় বিধানের জন্য সম্প্রীতিপূর্ণ পারিবারিক বন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায় শান্তিতে ঘর-সংসার করে আসছে। তাই প্রচলিত হিন্দু আইন পরিবর্তন করে এ সংক্রান্ত নতুন আইনের কোনো প্রয়োজন নেই।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। হিন্দু আইন সংস্কারের নামে হিন্দু ধর্মীয় তথা শাস্ত্রীয় বিধিবিধান সম্বলিত ‘পার্সোনাল ল’ পরিবর্তনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
এর আগে গত ৩রা সেপ্টেম্বর ডিআরইউতে এক আলোচনা সভায় সনাতন সম্প্রদায়ের আরেকটি অংশ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের নেতারা দাবি করেন, দেশের প্রচলিত হিন্দু আইনে নারীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। ছেলেরা বাবার সম্পত্তি পেলেও মেয়েরা পান না। সম্পত্তিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের নিরঙ্কুশ উত্তরাধিকার না থাকা, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও অধিকার না থাকা, শত নির্যাতনেও বিচ্ছেদের বিধান না থাকার মতো বৈষম্য দূর করতে দেশে প্রচলিত হিন্দু আইনগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।
ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথও হিন্দু আইন সংস্কারের পক্ষে মত দেন।
আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি এবং নিন্দা জানানো হয়। হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সনাতন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায় বলেন, প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন/ ‘পার্সোনাল ল’ বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করা হলে হিন্দু নারী ও হিন্দু সম্পত্তি উভয়ের বিপদাপন্নতা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। তারপরও যদি সরকার ও সুবিধাভোগী মহলটি অতি উৎসাহী হয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তনে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত না হয় তাহলে তারা যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে।
এসময় আরও বক্তব্য দেন আইনজীবী জে কে পাল, আইনজীবী প্রবীর হালদার, আইনজীবী চৈতালি চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি দে প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন