যশোরের মণিরামপুরে ৫০ বছরেও পাকা হয়নি এড়েন্দার রাস্তা

যশোরের মণিরামপুরের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত গ্রাম এড়েন্দা। এ গ্রামের ভেতর দিয়ে যশোর সদর উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা। গ্রামের হাজার মানুষের বসবাস এ রাস্তার দু’ধারে। বর্ষা এলে রাস্তাটি কাঁদা-পানিতে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে ভয় পায় শিক্ষার্থীরা। ভোগান্তির শেষ থাকে না সাধারণ মানুষেরও।

জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা করার দাবি এলাকাবাসীর বহু দিনের। ভোট এলে রাস্তা পাকা করার আশ্বাস পেয়ে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ভোটের পর আর কেউ খোঁজ নেয় না। ৫০ বছর এভাবেই চলছে। গ্রামের মানুষ এখনো আশায় বুক বেঁধে আছে।

এড়েন্দা গ্রামের আলী বক্সের দোকান থেকে সরদার পাড়া হয়ে রূপদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটি এড়েন্দার সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার সংযোগ সড়ক। এর মধ্যে আড়াই কিলোমিটার মণিরামপুরের মধ্যে পড়েছে।

এড়েন্দা গ্রামের কলেজছাত্র মাহমুদুল হাসান বলে, পাড়ার ৩০-৪০টি শিশু এ রাস্তা দিয়ে এড়েন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। কাদায় পড়ে যাওয়ার ভয়ে বর্ষার সময় শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। কাদার কারণে রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। এ এলাকা সবজি চাষের জন্য খুব পরিচিত। কিন্তু বর্ষাকালে বাজারে সবজি নিতে হিমশিম খান কৃষকেরা।

মাহমুদুল হাসান আরোও বলে, স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বাপ-দাদারা রাস্তাটা পাকা করার জন্য বহু নেতার কাছে গেছেন। হচ্ছে, হবে- এ কথা বলে সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কেউ রাস্তা করে দেননি। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ায় আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না।

স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুদ্দিন বলেন- এড়েন্দা ও রাজবাড়ী দু’গ্রাম নিয়ে আমার ওয়ার্ড। এখানে অন্তত ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা আছে। বর্ষার সময় কাদা জমে রাস্তায় চলাচলে খুব কষ্ট হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কয়েকবার বলেছি। কিন্তু এখনো কোনো রাস্তায় ইট পড়েনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন, উপজেলায় অনেক কাঁচা রাস্তা আছে। এর মধ্যে কিছু রাস্তা পাকাকরণের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। বাকিগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত এড়েন্দা গ্রামের ভোগান্তির রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে।