প্রাথমিক শিক্ষার অস্তিত্ব সংকট ও পেনশনভোগীদের স্বস্তি প্রদানে

প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পেশ ও আলোচনা সভা

শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রাথমিক শিক্ষায় বিশাল অর্জন সত্বেও জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অস্তিত্ব সংকটে নিমজ্জিত। এ সংকট উত্তরণে ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের অসহায়ত্বের কবল থেকে স্বস্তি প্রদানের লক্ষ্যে কতিপয় সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী সমীপে পেশ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। অনুলিপি প্রয়োজনীয় কার্যার্থে দেওয়া হয়েছে, অর্থমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সচিব অর্থসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্মারকলিপির মাধ্যমে সুপারিশ সমূহে বলা হয়েছে যে, উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখা বিলুপ্তকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান দুপুর ২টার মধ্যে সমাপ্ত করা, দৈনিক ১ ঘন্টা করে ৪টা পিরিয়ড পাঠদান করা, সহকারী শিক্ষকদের পদ এন্ট্রি ধরে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষা পৃথক ক্যাডার সার্ভিস প্রবর্তন, সিনিয়র প্রধান শিক্ষকদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান, সমযোগ্যতা সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের সমান প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান, একই পদে সিনিয়র-জুনিয়র পেনশনভোগীদের বৈষম্য নিরসন, পেনশনভোগীদের চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিকরণসহ শতভাগ পেনশন সমর্পনকারীদের ১৫ বছরের স্থলে ১০ বছর পেনশন পুনঃস্থাপনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ খিলগাঁও হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক বিভাগীয় উপ-পরিচালক ঢাকা, ইন্দু ভূষণ দেব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী আ. কা. ফজলুল হক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক গবেষণা পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা। প্রধান অতিথি ইন্দু ভূষণ দেব তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিশাল অর্জন। এ অর্জন প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি আ. কা. ফজলুল হক বলেন, একই পদে সিনিয়র-জুনিয়র পেনশনভোগীদের মাঝে বিশাল বৈষম্য। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এ বৈষম্য থাকা কাম্য নয়।
বক্তাগণ বলেন, স্মারকলিপি প্রস্তাবিত সুপারিশমালা যথাশ্রীঘ্র বাস্তবায়ন করে জাতীয়করণ প্রাথমিক শিক্ষা অস্তিত্ব সংকট থেকে রক্ষা করাসহ সিনিয়র পেনশনভোগীদের কষ্ট লাঘবের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এম. এ ছিদ্দিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।

বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব খন্দকার মনিরুজ্জামান (উপদেষ্টা), আমানউল্লাহ (গাজীপুর), গোলাম মোস্তফা (ময়মনসিংহ), শফিকুল ইসলাম মানিক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোঃ আলী (ঢাকা), ইসরাত জাহান বৃষ্টি (ঢাকা), সুবল চন্দ্র পাল (ঢাকা), এম. এ. হালিম সরকার (কুমিল্লা) প্রমুখ।