প্রধানমন্ত্রী চাইলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন : রিজভী

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভর করছে, এতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো হাত নেই’ তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটা সবাই জানে যে প্রধানমন্ত্রীই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি চাইলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাকে না দেওয়া হচ্ছে মুক্তি, না সুচিকিৎসা। ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়ারও কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।’

‘‘আইনত: জামিনযোগ্য মামলাতেও জামিন দেয়া হচ্ছে না। শুধু নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্যই শেখ হাসিনা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিকে বাইরে থাকতে দেননি। খালেদা জিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে আপোষহীন থাকতেন। ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে তার প্রবল অবস্থান থাকতো। তাই এখন অসুস্থতা-যন্ত্রণা ও মানসিক নির্যাতনের এক বিষাদঘন পরিবেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে দেশনেত্রীকে। এই মূহুর্তে দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসা দিতে হবে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’’

বিএনপি কিয়ামত পর্যন্ত নালিশ করতেই থাকবে – ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নালিশ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের নালিশ। অনাচার, বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র কায়েম, ন্যায় বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠার নালিশ। নজিরবিহীন মিডনাইট ভোটের বিরুদ্ধে নালিশ। আওয়ামী সরকারের অবৈধ সত্তার বিরুদ্ধে নালিশ। এই নালিশ শুধু ন্যায় সঙ্গত নয়, এটি সময়ের দাবি।’

‘‘ভুয়া ভোটের সরকারের অবৈধ শাসনের শুরুতেই দেশব্যাপী চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। কোথাও যেন কোন কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। গুম-খুন-বিচার বহির্ভূত হত্যার সাথে সামাজিক অনাচার মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলে আওয়ামী সরকারের নৈরাজ্যে সারাদেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অথচ আইনের শাসন থাকলে বিচার ব্যবস্থায় আতঙ্কের কোনো জায়গা থাকতো না।’’