প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই বিমানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের গেট খোলা নিয়ে সৃষ্ট অনিয়ম এবং মদ্যপ অবস্থায় কেবিন ক্রু’র ভিভিআইপি ফ্লাইট করার চেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গাফিলতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার পর।

বিমানের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে বিমানের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে বিতর্কের জন্ম দেয়া কেবিন ক্রু সৈয়দা মাসুমা মুফতি ও কাস্টমার সার্ভিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নুরুজ্জামান রঞ্জুকে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার লন্ডনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিজি-০০১ ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহূর্তে ডোপ টেস্টে বিমানের কেবিন ক্রু সৈয়দা মাসুমা মুফতির শরীরে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) কর্তৃক ডোপ টেস্ট করানো হলে পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং তাকে ফ্লাইট থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বিষয়টি কাউকে না জানাতে এবং চাপিয়ে যেতে তিনি সিএমওকে বলে যান। লন্ডনে গিয়েও তিনি অধীনস্ত সব ক্রুকে বিষয়টি গোপন রাখতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তারপরও বিষয়টি জানাজানি হলে এবং মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ালে মুফতি এবং রঞ্জুকে গ্রাউন্ডেড করা হয়।

ফ্লাইটে চিফ পার্সার হিসেবে ছিলেন কাস্টমার সার্ভিসের ডিজিএম নুরুজ্জামান রঞ্জু। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন তিনি। সেইসঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধেও।

লন্ডনে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ওয়ান-এল গেট খোলার বদলে আগে টু-এল গেট খুলে দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের প্রথমে বের হতে সুযোগ করে দেন নুরুজ্জামান রঞ্জু। যে কারণে ২০ মিনিটের মতো বেশি সময় ফ্লাইটে থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বিষয়টিকে সঙ্গত কারণে স্বাভাবিকভাবে নেননি।

এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোদাদ্দেক আহমেদ বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক বলেন, বিমানের কাছ থেকে আমরা ঘটনার লিখিত একটি রিপোর্ট চেয়েছি। মঙ্গলবার বিমান রিপোর্টটি দিয়ে যাবে।