প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দেওয়া নজিরবিহীন: রিজভী
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান দেশের প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দেওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী কোনো অস্ত্রদাতা বা গ্রহীতা যদি অস্ত্র দেয়, যিনি দেবেন এবং যে গ্রহণ করবেন তাদের সাজা হবে। আমরা কয়েকদিন আগে দেখলাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যিনি প্রধান তিনি তরবারি দিচ্ছেন দেশের যিনি আইনের অভিভাবক প্রধান বিচারপতি তাকে। এই যে তরবারি দিয়েছেন তার কি কোনো লাইসেন্স আছে? বলেছেন আপনাদের কাছে? এর নূন্যতম সাজা ৭ বছর কারাদণ্ড।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ওলামা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে সেই সময়ে ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি অস্ত্র দিয়েছিল, যেটি তার বাসায় ছিল। এটার কারণে এরশাদের সাজা হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন। এই যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান তিনি যে তরবারি দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতিকে এটা কোন আইনে দিলেন? আসলে ওরা দেশের প্রচলিত কোনো আইন কানুন তোয়াক্কা করে না, আমি আগেও বলেছি। তারা মনে করে শেখ হাসিনার কথাই আইন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, যারা শেখ হাসিনার তল্পিবহন করে, যারা শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং ফ্যাসিজমকে সমর্থন করে তারা যা কিছু করে এটাই হচ্ছে বৈধ। পৃথিবীতে কোনো দৃষ্টান্ত আছে এই ধরনের ঘটনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান যিনি দেশের প্রধান বিচারপতিকে তরবারি দিচ্ছেন। প্রধান বিচারপতি যিনি থাকেন ন্যায় বিচার করার জন্য, নীরবে নিভৃতে কেউ যাতে তাকে পক্ষপাতিত্বের দিকে না নিতে পারেন সেটাই হচ্ছে ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত। এত বড় অন্যায় করলেন এর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা হবে ৭ বছর জেল। এরশাদ তার উদাহরণ।
রিজভী বলেন , এখন ডিসি-এসপিরা নৌকার পক্ষে ভোট চায়। তারা কাউকে পছন্দ করতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না। কারণ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন ডিসি, তাহলে কীভাবে একজন ডিসি নৌকার পক্ষ ভোট চায়। এতে বোঝা যায় শেখ হাসিনার আগামী নির্বাচন কত একতরফা ও গণবিরোধী হবে। তার নমুনা এখনি ফুটে উঠেছে।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দাবি, সরকার তাকে মুক্তি দেবে। তিনি যেখানে উন্নত চিকিৎসা চান, নাগরিক অধিকার হিসেবে সেই দাবি পূরণ করবে।
এসময় ওলামার দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, যুগ্ন আহ্বায়ক মাওলানা কাজী আলমগীর হোসেন, মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মাওলানা মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন