প্রশিক্ষণের নামে ভাতা ও খাবারের বিলই সাড়ে ৭ কোটি টাকা!

প্রশিক্ষণের নামে ও ভুয়া বিল ভাউচার করে ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা লোপাটের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের নামে দুদকে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তারা দুদক কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন।

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছাড়াও অভিযুক্ত করা হয় সব নির্বাচন কমিশনার, বর্তমান ও সদ্য সাবেক সচিবকেও।

অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা না মেনে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে প্রশিক্ষণে কোর্স ভাতা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। যেখানে উপদেষ্টা পদে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, বিশেষ বক্তা খাতে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও কোর্স পরিচালক খাতে ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮০০ করা হয়।

নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাতা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার ২৮০ টাকা এবং নিয়মের বাইরে অর্থনৈতিক কোড পরিবর্তন করে ভাতা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৫ টাকা।

এছাড়া প্রশিক্ষণে অধিকসংখ্যক খাবার কিনে ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং ভুল বিল ভাউচারে ১০ লাখ তিন হাজার ২৫০ টাকা ব্যয় নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল অডিট অধিদপ্তর। গাড়ি মেরামতে ৬ লাখ ৬৬৬ টাকার ব্যয়ের অডিটও নিষ্পত্তি হয়নি বলে অভিযোগ দাখিল করেন এই দশ আইনজীবী।