প্রশ্ন ফাঁস: জড়িতদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সদ্য শেষ হওয়া এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের নামের তালিকা চেয়ে সাধারণ আট বোর্ডে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও জানাতে বলা হয়েছে।

রোববার (১১ মার্চ) এ চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাত আহমেদ।

চৌধুরী মুফাত আহমেদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের নামের তালিকা পাওয়ার পর কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে এমপিও (বেতন বাবদ মাসিক সরকারি অনুদান) বাতিল, স্থগিত বা বরখাস্তের মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিছুতেই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, (গ্রেপ্তার, আটক বা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া) বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের তালিকা দিতে সাধারণ আট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে চলাকালে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পারেনি সরকার। ১৭ দিনের লিখিত পরীক্ষার মধ্যে ১২ দিনে আবশ্যিকসহ ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, যা প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেকর্ড। পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ছড়ানো, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র কেন্দ্র থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়াসহ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র, শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি মিলিয়ে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এদিকে রোববার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে এসএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে উচ্চ আদালতের করে দেয়া প্রশাসনিক কমিটি দ্বিতীয় সভা করেছে। এদিন কমিটির সদস্যরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরিদর্শন করেন।

এরআগে কমিটির প্রথম সভা মঙ্গলবার (৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়। এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত বিচারিক ও প্রশাসনিক নামে দুটি কমিটি করে দেন। প্রশাসনিক কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. কায়কোবাদ আর বিচারিক কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ।