প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে রাঙিয়ে তুলেছে কৃষ্ণচুড়া

ঋতুরাজ ও বসন্তকে অবাক করে লালমনিরহাটের পথে প্রান্তরে বর্নিল শোভ চড়াচ্ছে কৃষ্ণচুড়া, জারুল ও সোনালু ফুল।

এসব ফুলের নয়নাবিরাম সৌন্দর্য ছড়িয়েছে লালমনিরহাটের গ্রামের সবুজ প্রান্তর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ও বাড়ির আঙ্গিনা ছাড়িয়ে রাঙিয়ে তুলেছে। প্রকৃতি ও পুষ্প প্রেমিকরা মনের খোরাক জোগাতে অনেকেই এসব ফুল তুলে নিয়ে যান বাসা কিংবা বাড়িতে।

প্রকৃতিতে এখন গরমের উষ্ণতা। কখনো কখনো মেঘে ঢাকা আকাশ আবার হঠাৎ প্রচন্ড তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এ এলাকার মানুষ। তাদের উষ্ণতা নিবরনে কিছুটা প্রশান্তির ছাঁয়া দিচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক কৃষ্ণচুড়া।

লালমনিরহাট শহরের প্রানকেন্দ্র মিশন মোড়, ষ্টেশন, ঈদগাহ মোড়সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দু-ধারে রয়েছে অসংখ্য কৃষ্ণচুড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের গাছ। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে
উপভোগ করতে শহরে ছুটে আসছেন অনেকেই। কেউ ফুল মাথায় লাগিয়ে সেলফি তুলছেন, কেউ গাছ তলায় বসে প্রশান্তি নিচ্ছেন, কেউ আবার চা আড্ডায় বসছেন।

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ আলম বলেন, কৃষ্ণচুড়া, গাঢ়বর্নের লাল, হলুদ, সোনালী বিচিত্র ফুলের সম্বাহার, জারুল ১২-১৫ মিটার লম্বাকৃতির এবং বেগুনি রঙের ফুল ছড়ায়। এ গাছের কাঠ নৌকা তৈরীতে কাজে লাগানো হয়। সোনালু গাছ হলুদ রংয়ের ফুল ফুটে। এ গাছের ছাল রং ও ঔষধ তৈরীর কাজে লাগে। এসব শোভা বর্ধনকারী গাছ। এ গাছ বেশি বেশি করে রোপন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

  1. লালমনিরহাট বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, শহরের পথে প্রান্তরে যেসব শোভাবর্ধক গাছ বয়সের ভার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেগুলিকে রিপ্লেস করে নতুন সাজে এ শহরকে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।