প্রাণ রক্ষায় ‘ওরাল সেক্সে’ বাধ্য হলো রোহিঙ্গা তরুণী
দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গিয়েও সর্বস্ব হারাতে হলো রোহিঙ্গা তরুণীকে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫ বছরের ওই রোহিঙ্গা মেয়ে। নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাকে ‘ওরাল সেক্সে’ বাধ্য করেছে এক যুবক।
মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদনে জানায়, রোহিঙ্গা ওই তরুণী গত সোমবার (২৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দার বারু এয়ার ইতাম এলাকায় একটি ক্ষেতের পাশ দিয়ে একা হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন মোটরসাইকেলে চড়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল ২২ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকই তরুণীকে ওরাল সেক্সে বাধ্য করে।
মালয়েশিয়ার জর্জটাউনের সহকারী কমিশনার আনোয়ার ওমরের ভাষ্য, ওই তরুণীর কাছে গিয়ে সে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন এবং তার সঙ্গে পাসপোর্ট আছে কি না- এসব জানতে চায় সে। এরপর রোহিঙ্গা মেয়েকে তার টরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায় দূরে জালান থিয়ান তেইক এলাকায় একটি এপার্টমেন্ট ব্লকের ১৭ তলায় অবস্থিত একটি ফাঁকা ইউনিটে। সেখানে নিয়েই ওই মেয়েটিকে নগ্ন হতে নির্দেশ দেয় ওই ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারী।
পরে সে নিজে তার শার্ট খুলে ফেলে। প্যান্ট খুলে ফেলে। তারপর ওই তরুণীকে ‘ওরাল সেক্সে’ বাধ্য করে। দীর্ঘ সময় তাকে এ কাজে বাধ্য করার পর ছেড়ে দেয়। তাকে পোশাক পরার পর বলা হয় কানের দুল, স্বর্ণের চেইন তার হাতে তুলে দিতে। এরপর তারা এপার্টমেন্ট থেকে চলে যাওয়ার জন্য লিফটের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তিনি পুলিশে ফোন দিয়ে অপরাধীকে ধরিয়ে দেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে তুলেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন