রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার

নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার আলোচনা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। দেশটির নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দ্বি-পাক্ষিক যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি কোনো ধরনের আলোচনায় আগ্রহী নন।

শনিবার কুয়ালালামপুরে রোহিঙ্গাদের সংহতি সমাবেশে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এ কথা জানান। তিনি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চান। এ সময় সুচি মুখের ওপর বলে দেন- ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চাইলে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে আমি আগ্রহী নই’।

এ সময় মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নাজিব রাজাক। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে শিগগিরই রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের এই অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গা ইস্যু মালয়েশিয়ার জন্যও নিরাপত্তা সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে একটি বড় সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে।

মালয়েশিয়ার এই প্রতিবাদের কড়া সমালোচনা করেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ইউ যাউ হোতাই। মিয়ানমার টাইমসকে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের ওপর মালয়েশিয়ার সম্মান করা উচিত।’

এদিকে, রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদে মালয়েশিয়া মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের অনূর্ধ্ব-২২ জাতীয় ফুটবল দলের একটি প্রীতি ম্যাচ বাতিল করেছে।