‘ফরহাদ মজহার এখনও আতঙ্কিত’

ফরহাদ মজহার এখনও ট্রমাটাইজড। তাকে দেখে বোঝা যায় তিনি এখনও আতঙ্কিত। কিছুক্ষণ পর পর চমকে ওঠেন। তার জীবনে যা ঘটে গেল এখনও সেই ঘোর কাটেনি। এসব কথা জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের পরিচালক সীমা দাস। হাসপাতালে এখন তিনিই ফরহাদ মজহারকে দেখাশুনা করছেন।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরহাদ মজহারের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন সীমা দাস। বারডেম হাসপাতালের ১১ তলার কেবিনে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এ কে এম মুসার অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন ফরহাদ মজহার। যদিও কেবিনের ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি এ প্রতিবেদকের।

সীমা দাস বলেন, ‘‘তিনি আগে থেকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। কিন্তু নিখোঁজ থাকার সময়ে কোনও ওষুধ খাওয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেটার প্রভাব পড়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘তার হার্টে ছোট একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে।’ ৪৮ ঘণ্টার কিছু টেস্ট দিয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার আপডেট জানাবেন। এর বাইরে আমরা আর কিছু বলতে পারছি না। তবে সুস্থ হয়ে তিনি প্রেস ব্রিফিং করবেন।’’

ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সীমা দাস জানান, তার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমরাও তাকে এ সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। তিনি এখনও ট্রমাটাইজড।’

এদিকে অধ্যাপক ডা. এ কে এম মুসার চেম্বারে গেলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলবো না।’ কিছুক্ষণ পর আবারও দেখা হলে ডা. মুসা বলেন, ‘উনি ভালো আছেন। শুধু এটুকু জেনে রাখুন।’

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ জুলাই) ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ পরে তার স্ত্রী আদাবর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে র‌্যাব-৬ যশোর নওয়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে আদাবর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হাফিজ আল ফারুকের নেতৃত্বে তাকে যশোর থেকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়। জবানবন্দি দেওয়ার পর তিনি নিজ জিম্মায় যাওয়ার আবেদন করলে শুনানি শেষে তার এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।-প্রতিবেদন বাংলা ট্রিবিউনের সৌজন্যে প্রকাশিত।