ফাঁস হলো স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়া দানবীয় কৃমির সেই রহস্য! (ভিডিও)
বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পড়ে রয়েছে এক বিরাট কৃমি। এমনই এক ছবি ধরা পড়েছিল মার্কিন স্যাটেলাইট কুইকবার্ড টু’র ক্যামেরায়। ২০০৬ শাল থেকে সেই রহস্য তাড়া করে বেড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। অবশেষে প্রায় ১২ বছর পরে জানা গেল সেই ‘কৃমি’র রহস্য।
জানা গেছে, কুইকবার্ড টু ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার এক অরণ্যের একটি ছবি তোলে। তাতে দেখা যায়, অরণ্যের ভিতরে এক সুবিশাল কৃমি জাতীয় কিছু অবস্থান করছে। সেই থেকে এই ছবি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মাথা ঘামাতে শুরু করেন।
জীববিজ্ঞানী রব নেলসন জানান, চেহারায় এটি একদম কৃমির মতো। কিন্তু এর কোথায় শুরু, কোথায় শেষ, তা বোঝা যাচ্ছে না। তেমনই বোঝা যাচ্ছে না, কুণ্ডলী পাকানো এই বস্তুটি ঠিক কতটা দীর্ঘ।
একেবারেই ভিন্ন বিষয়ের মানুষ, সামরিক ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু রবার্টশ বস্তুটিকে খুঁটিয়ে দেখে জানান, এই হিজিবিজি থেকে কোনও অর্থই উঠে আসছে না। কিন্তু ভাল ভাবে নজর করে দেখা যায় এই কৃমির কুণ্ডলীর মাঝে এমন কিছু রয়েছে, যা মানুষ নির্মিত বলেই মনে হয়। এই সূত্র ধরেই রহস্য সমাধানে এগিয়ে যান বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেই বৃহৎ হিজিবিজিটি আর কিছুই নয়, বড় ও ছোট পাথরের সমষ্টি, স্যাটেলাইট থেকে তাকে অমন প্যাঁচালো ও জটিল দেখাচ্ছে। কোন এক সময়ে মানুষ সোনার সন্ধানে সেখানে খোঁড়াখুড়ি করেছিল। সোনা সংগ্রহের পরে বাড়তি পাথর ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
অসংখ্য ছোট-বড় নুড়ি পড়ে থাকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। পড়ে থাকা সেই সব পাথরকেই মহাকাশ থেকে বৃহৎ কৃমি বলে মনে হয়েছে। আর মানুষ নির্মিত বস্তুটি আসলে একটা বিরাট ড্রেজিং মেশিন, যা দিয়ে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন