ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনকে করা ফিফার জরিমানা শোধ করেছেন এমবাপ্পে

বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে পা রেখে যেন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দলের সবচেয়ে বড় তারকা বলে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি।

কিন্তু কিছুতেই কথা বলার জন্য তাঁকে সামনে পাচ্ছিল না সংবাদমাধ্যম।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানের জয়ে একটি গোল করেছেন এমবাপ্পে। সেদিন জোড়া গোল করায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অলিভিয়ের জিরু। পরের ম্যাচে ফ্রান্স ডেনমার্ককে হারায় ২–১ গোলে। জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েও সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি এমবাপ্পে।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে সংবাদ সম্মেলনে না পাঠিয়ে নিয়ম ভাঙায় ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশনকে অর্থ জরিমানা করে ফিফা। এমবাপ্পে এর দায়টা নিজের কাঁধে নিয়েছেন। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের জরিমানা তিনি নিজে থেকেই শোধ করেছেন!

গতকাল শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এমবাপ্পে। দলের ৩–১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার। দলকে এগিয়ে দেওয়া অলিভিয়ের জিরুর গোলটিও হয়েছে তাঁরই রক্ষণচেরা দুর্দান্ত এক পাস থেকে।

এবার অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যাননি এমবাপ্পে। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি খোলামেলাভাবেই কথা বলেছেন। কেন প্রথম রাউন্ডের সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘প্রথম রাউন্ডে আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলিনি। এর কারণ একটাই—আমার টুর্নামেন্ট আর নিজের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। নিজের খেলায় বা কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে হলে আমি এটাই করি।’

এমবাপ্পে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার খেসারত দিতে হয়েছে ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশনকে। এটা শোনার পর এমবাপ্পে অন্য রকম একটা কাজই করেছেন। গতকাল সেটাও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন এমবাপ্পে, ‘আমাকে যখন বলা হলো যে (আমি কথা না বলার কারণে) ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশনকে জরিমানা করা হবে, আমি নিজেই সেটা দিয়ে দিলাম। কারণ, দায়টা তো আমার ছিল।’